একটি আদর্শ মাটিতে শতকরা ৫ ভাগ জৈব সার থাকা আবশ্যক। কিন্তু বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ জমির মাটিতে জৈব উপাদান শতকরা ১.৫ ভাগের চেয়ে কম এবং কোন কোন জমিতে শতকরা ১ ভাগের চেয়েও কম। ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠির খাদ্য চাহিদা মেটাতে উত্তরোত্তর ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি, উচ্চ ফলনশীল জাতের সম্প্রসারণ, মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার প্রয়োগ এবং জৈব সারের ব্যবহার হ্রাস জৈব উপাদানের ঘাটতির জন্য মূল কারন।
কৃষিবিদ জৈব সারের উপকারিতাঃ
- ◉ মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বাড়ায়।
- ◉ উদ্ভিদকে সর্বপ্রকার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
- ◉ মাটির গঠন ও গুনাগুণ উন্নত করে। বেলে মাটি সরস হয়, পানি ধারন ক্ষমতা বাড়ে, তাছাড়া এঁটেল মাটিকে কিছুটা
- ◉ দো-আঁশ ভাবাপন্ন করে ফসল জন্মানোর অধিক উপযোগী করে তোলে।
- ◉ কৃষিবিদ জৈব সার ব্যবহারে মাটির উপকারী জীবাণুর ক্রিয়া বেড়ে যায় এবং এদের বংশবিস্তারেও সহায়ক হয়।
- ◉ কৃষিবিদ জৈব সার ট্রাইকো ডার্মা পরিশোধিত হওয়াতে ক্ষতিকর মাটি বাহিত রোগ-জীবাণুর ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে দেয়।
- ◉ বৃষ্টিপাত জনিত আঘাতের ফলে ও বায়ু প্রবাহজনিত ভূমি ক্ষয় সাধনের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
- ◉ কৃষিবিদ জৈব সার গ্রীষ্মকালে মাটিতে তাপমাত্রা কমিয়ে ও শীতকালে মাটির তাপমাত্রা বাড়িয়ে ফসলকে উচ্চ তাপমাত্রা ও নিম্ন তাপমাত্রার পিড়ন থেকে রক্ষা করে।
- ◉ কৃষিবিদ জৈব সার প্রয়োগে জমিতে প্রয়োগকৃত রাসায়নিক সারের কার্যকারিত বাড়ায় কৃষিবিদ জৈব সার মাটির মধ্যে বায়ু চলাচলের সাহায্য করে।
- ◉ মারি অম্লত্ব, ক্ষারত্ব ও লবণাক্ত সংশোধনে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
ফসলের মাঠে ব্যবহার: মূল জমিতে প্রতি শতাংশে সর্বনিম্ন ৩-৫ কেজি কৃষিবিদ জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে।
বীজতলায় ব্যবহার: ১ মি. x ১০ মি. সাইজের একটি বীজতলার জন্য ৫ কেজি কৃষিবিদ জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে।
মাদা বা গর্তে ব্যবহার: কুমড়া জাতীয় সবজির মাদা ১৫০-২৫০ গ্রাম কৃষিবিদ জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে প্রতি গাছের জন্য ২-৫ কেজি কৃষিবিদ জৈব সার
রীর আগে বা পরে মাদা প্রতি ফল জাতীয় উদ্ভিদের ক্ষেত্রে করতে হবে।